যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্ক আলোচনায় এসেছিলেন মুলত: সরকারের আকার ছোট করার মিশনে নেতৃত্ব দিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে বিদায় নিয়েছেন। তবে নিজের নেতৃত্বে তিলে তিলে গড়ে তোলা ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা সংক্ষেপে ডোজের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
গত বুধবার (মে ২৮) রাতে ‘স্পেশাল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ী’ হিসেবে তার সময়কাল শেষ হওয়ায় মার্কিন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেন। এক্স-এ পোস্ট করে ইলন মাস্ক জানান, ‘অপচয় কমিয়ে আনার দায়িত্বে¡ আমাকে রাখার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। ডোজ মিশন চলতেই থাকবে এটা এখন সরকারি সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠছে।‘
গত জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পর থেকে বছরে ১৩০ দিনের জন্য বিশেষ কর্মচারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান ইলন মাস্ক। তবে ট্রাম্পের বাজেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের একদিন পর বিদায় নিলেন ইলন মাস্ক। সিবিএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইলন বলেন, এই বিল আসলে ঘাটতি বাড়াবে এবং ডোজের কাজকেই ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
প্রথম দিকে কমপক্ষে ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কমানোর কথা বললেও পরে সেটি ১৫০ বিলিয়নে নামিয়ে আনেন ইলন। এই সময়ে প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার সরকারী কর্মচারী ছাঁটাই বা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন।
গত মাসের শেষ দিকে ইলন জানান, তিনি ধাপে ধাপে প্রশাসন থেকে সরে এসে টেসলা ও স্পেসএক্সে মনোযোগ দেবেন। কারণ, ডোজ এখন অনেক কিছুর জন্য দোষারোপের লক্ষ্য বস্তু হয়ে গেছে।
ডোজে অধিক সময় ব্যয় করাকেই টেসলার বিক্রি কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন অভিজ্ঞরা। বছরের শুরুর দিকে টেসলার বিক্রি ১৩% কমেছে, যা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দর পতন। যদিও বর্তমানে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন সরকারে ইলন মাস্কের ভূমিকা নিয়ে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে টেসলা বয়কোটের ডাক, দেশজুড়ে বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। বন্ডি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনাকে ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
মাস্ক সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আগামী পাঁচ বছর তিনি টেসলার নেতৃত্বে থাকবেন এবং রাজনৈতিক অনুদান অনেক কমিয়ে দিবেন। প্রসঙ্গত বলতেই হয়, গত বছর তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের জন্য প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন বলে জানা যায়।
সূত্রঃ বিবিসি