নওগাঁর ধামইরহাট থানার হাজতে রাখা ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওসি আবদুল মালেক কে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম। এঘটনায় নতুন ভাবে আরো ৩জন কনস্টেবল কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওসি সহ মোট ৬ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে থানার হাজতে বিভিন্ন অপরাধের আসামি থাকলে হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত মো. সাগর হোসেন (৩০) নামের একজন আসামিকে নারী হাজতে এক হাতে হাতকড়া অবস্থায় রাখা হয়। সে ওই রাতে হাজতের ভিতরে বসে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র রাখা একটি ট্রাংকের সিলগালা নখ দিয়ে খুলে ফেলেন। পরে সেখানে রাখা চাবি দিয়ে ট্রাংকের তালা খুলে সেখানে রাখা প্রশ্নপত্রের একটি সেট বের করেন। তারমধ্যে কয়েকটি প্রশ্নপত্র ছিড়ে ফেলেন এবং বাকি প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন। উক্ত ঘটনার ফলে আসামিকে আরো একটি মামলা দায়ের শেষে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলাম প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ধামইরহাট থানা পরিদর্শনে আসেন। এসময় তিনি প্রশ্ন ফাঁস হওয়া ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের ৩০৫ নম্বর কোডটি বাতিল করেন। নতুন করে আরো একটি প্রশ্ন পত্রের সেট তৈরী করা হলে সেই সেট প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ইতিহাস বিষয়ের এইচএসসি পরীক্ষা যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।