
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নওগাঁর রাণীনগরে বিদ্যুতের সটসার্কিট থেকে আগুন লেগে বাড়ি পুড়ে যাওয়া মৎস্যজীবি রজব আলীর পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জিআর বরাদ্দ থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার, কম্বল, ৩ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৯ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।
রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাকিবুল হাসান ক্ষতিগ্রস্ত রজব আলীর হাতে সহায়তাগুলো তুলে দেন।
এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সরকারি এই সহায়তাগুলো পেয়ে কষ্টের মাঝেও খুশি ক্ষতিগ্রস্ত রজব আলী। তাই তিনি ধন্যবাদ জানালেন পিআইও কর্মকর্তা ও ইউএনওকে। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানালেন এলাকার বিএনপি নেতা রাসেল সরকারকে। তিনি বলেন, রাসেলকে বলা মাত্রই তিনি ইউএনও অফিস থেকে এই সহায়তা নিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। এতে আমার কিছুটা হলেও উপকার হবে।
উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকার বলেন, গত বুধবার রজব আলীর বাড়িটি আগুনে পুড়ে যায়। সে আমাকে এসে বলা মাত্রই তাকে নিয়ে ইউএনও অফিসে এসেছিলাম। ইউএনও খুব দ্রুত সহযোগিতা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রজব আলীর পাশে দাঁড়িয়েছে। এতে আমার খুব ভালো লাগছে একজনকে সহযোগিতা করতে পারলাম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ইউএনও স্যার বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করার নির্দেশনা দেন। তারই প্রেক্ষিতে এদিন দুপুরের দিকে ইউএনও স্যার নিজে ক্ষতিগ্রস্ত রজব আলীর হাতে মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার, কম্বল, ৩ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৯ হাজার টাকা তুলে দেন। অসহায় পরিবারের জন্য আমাদের মানবিক এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
ইউএনও মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারলে খুব ভালো লাগে। তাই সরকারিভাবে পরিবারটিকে যথাসাধ্য সহায়তা প্রদান করা হলো। আগামীতেও অসহায়, দু:স্থ্য পরিবারের জন্য আমাদের মানবিক এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ, গত বুধবার ২৬ নভেম্বর ভোরে উপজেলার মিরাট পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত কমেদ আলীর ছেলে মৎস্যজীবি রজব আলীর বাড়িতে বিদ্যুতের সটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে রজব আলীর বাড়ির দু’তলা টিনের চালা, ছয়টি রুম এবং রুমের টিভি, ফ্রিজ, ধান, চালসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এই আগুনে তার বাড়ির প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।