
সাগর মিয়া, রংপুরঃ
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকায় ঘটে গেছে মানবিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। স্কুলে কয়েক মিনিট দেরিতে পৌঁছানোর অপরাধে শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়ার পর রাস্তায় মুমূর্ষ অবস্থায় মিলেছে এক স্কুলছাত্রকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ৯টার দিকে শিশুটি স্বাভাবিকভাবেই অক্সপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুলে যায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের সামান্য পরে পৌঁছানোয় প্রধান শিক্ষক তাকে গেট থেকেই ফিরিয়ে দেন।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি শিশুটিকে তিরস্কার করে বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশের অনুমতিও দেননি। গেট থেকে ফেরত আসার পর শিশুটির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয়রা হারাগাছ মেনাজের আড্ডা তেজপাতার বাগানের সামনে রাস্তায় তাকে অচেতন ও মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হারাগাছ ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন—শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিভাবকরা বলছেন, “একটি ছোট শিশুকে অপমান করে গেট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া—এটি শুধু অমানবিকই নয়, শিক্ষকতার নৈতিক দায়িত্বেরও পরিপন্থী।” এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন— “শিশুটি আজ স্কুলে আসেনি, তাই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না। স্কুলে এলে আমি দায়িত্ব নিতাম, যেহেতু আজ সে আসেনি—আমি কিছু বলতে পারব না।”
এদিকে পুরো ঘটনার তদন্তে স্থানীয় শিক্ষা বিভাগ দ্রুত উদ্যোগ নেবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে শিশুটির বাবা হারাগাছ থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিভাবক ও সচেতন মহল দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।