বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫
০২:৫২:০০ PM
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
শিরোনামঃ

ধান চালের অবৈধ মজুত, বস্তার গায়ে মিলগেট দর না লেখা, ধানের জাত ও মিলের নাম না লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে নওগাঁর এসিআইসহ ৬ রাইস মিলে অভিযান  চালিয়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা খাদ্য বিভাগ।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া এবং মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া ও সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত চালকল এবং অটো রাইস মিলগুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করেন  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার। 

অভিযানে অবৈধভাবে ধান মজুত রাখার অভিযোগে শহরের যুব উন্নয়ন এলাকায় অবস্থিত টিকে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৮০ হাজার টাকা, মহাদেবপুরের চকগৌরী এলাকায় অবস্থিত জিহাদ চাল কলকে ১ লাখ টাকা, সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত এসিআই ফুডস লিমিটেড রাইস ইউনিটকে আতপ চালের প্যাকেটে অতিরিক্ত মূল্য লেখায় ৫০ হাজার টাকা, হাট চকগৌরী এলাকার লাইলি চল কলকে অবৈধ ধান মজুতের অভিযোগে ১ লাখ টাকা, অবৈধ ধান চাল মজুতের অভিযোগে মহাদেবপুরের চৌমাশিয়া এলাকায় অবস্থিত রাকিব চাল কলকে ২ লাখ টাকা, মিলন ট্রেডার্সকে অবৈধ মজুতের অভিযোগ ৫০ হাজার টাকা এবং কুলসুম চাল কলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, গত কিছুদিন যাবত নওগাঁর খুচরা বাজারে ধান এবং চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান এবং চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমরা চালকল এবং অটো রাইস মিলগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মিলগুলোতে খাদ্য আইন অমান্য করে অবৈধ ধান চাল মজুত রাখা এবং বস্তার গায়ে জাতের নাম, মিলগেট দর না লেখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৬টি মিলকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, মিলগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা হয়েছে। খাদ্য আইনে সরাসরি ব্যবস্থা নিলে ৪ ধারায় তারা এতক্ষণে জেলে থাকতেন। অবৈধ মজুতগুলো বাজারে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। এরপরে যদি অবৈধ মজুত পাওয়া যায় তাহলে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি অভিযানের মাধ্যমে বাজারে ধান চালের দাম দ্রুত কমে আসবে। 

এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, খাদ্য বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts