শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫
০৯:৪৯:২৬ AM
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
শিরোনামঃ

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে বিদ্যাপিট রাণীনগর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং  মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পানি নিস্কাশনের ড্রেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই ড্রেন পরিস্কার না করায় পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি হয়, ফলে অল্প বৃষ্টিপাতেই থানার গেট থেকে শুরু করে কৃষি ব্যাংক পর্যন্ত বৃষ্টি নামলেই হাঁটু পানি জমে যায়। স্কুল চলাকালীন সময়ে এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ রাস্তা  চলাচলে জনো সাধারণের চরম ভোগান্তি  পোহাতে হয়। সাথে যোগ হয়েছে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে স্থাপিত জেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম। 

আবর্জনা স্কুলের পার্শ্বে ও ড্রেনে ফেলে দেওয়ার কারণে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করায় পচে গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট হচ্ছে । ফলে তীব্র দূর্গন্ধে  কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছে। বিশেষ করে হাই স্কুলের দেওয়ালের পাশে ময়লার ভাগার দূর্গন্ধ ছড়িয়ে এই রাস্তা  দিয়ে চলাচলরত জন সাধারণকে বিষিয়ে তুলছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।স্থানীয়রা বলছে অডিটোরিয়ামের ময়লা ছাড়া  আশপাশের বসতবাড়ি  থেকে প্রতিদিন  ময়লা, বর্জ্য এখানে ফেলে দেওয়া হয়।  উপজেলার বাজার এলাকায় নিদৃষ্ট কোন ময়লা ফেলার জায়গা না থাকায় এলাকাবাসি এই জায়গায় ময়লা ফেলার জন্য বেছে নিয়েছে। দূগন্ধের কারণে স্কুলে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীদের  দূগন্ধ থেকে রক্ষা পেতে নাকে মুখে কাপড় বেধে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়।

দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ সিয়াম আলী জানান, এখানে ময়লা রাখার কারণে গন্ধ ছড়ায়। স্কুলে প্রবেশ করতে নাক চেপে ধরে আসতে হয়। ক্লাস রুমে ও দূর্গন্ধের কারণে নাকে রুমাল বেঁধে  ক্লাস করতে হয়।

রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান মৃধা বলেন, আমার বিদ্যালয়ের পার্শ্বে ময়লার ভাগাড় থেকে দূগর্ন্ধের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের চরম অসুবিধে হয়। পরিবেশ সুন্দর রাখতে ময়লার ভাগাড় অপসারণ করে এই স্থানে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ চন্দনা শারমিন জানান, স্কুল দুটো আমার পরিষদের পাশেই। হাই স্কুলের দেওয়ালের সামনে ময়লার ভাগাড়ের কারণে গন্ধ ছড়ায়। ফলে সবার এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। বিশেষ করে  শিক্ষার্থীদের   ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রতি বছরই ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে  ময়লার ভাগাড়গুলো পরিস্কার করা হয়, এবারও করা হবে। তবে পরিচ্ছন্নতা কর্মী না থাকায় বিলম্বিত হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় এই ময়লার ভাগাড় পরিস্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই রাণীনগর বাজার বণিক সমিতির সাথে কথা হয়েছে।  অতি দ্রুত ময়লা অপসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  প্রয়োজনে আমার পরিষদ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts