
এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই গবেষক মেরি ই. ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড র্যামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি।
বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। তারা ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ সম্পর্কিত যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
মেরি ই. ব্রাঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির গবেষক, ফ্রেড র্যামসডেল সান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিক্সের সঙ্গে যুক্ত, আর শিমন সাকাগুচি জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
গত বছর (২০২৪) চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। তারা মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উদ্ঘাটনের জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
প্রতি বছর ছয়টি বিভাগে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়— চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতি। এর মধ্যে শান্তির নোবেল ঘোষণা করা হয় নরওয়ের অসলো থেকে, আর বাকি পাঁচটি ঘোষণা হয় সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তাঁর রেখে যাওয়া অর্থ ও উইল অনুযায়ী ১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে ‘দ্য ব্যাংক অব সুইডেন’-এর সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতেও নোবেল পুরস্কার চালু হয়।
সূচি অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর: পদার্থবিজ্ঞানে, ৮ অক্টোবর: রসায়নে, ৯ অক্টোবর: সাহিত্যে, ১০ অক্টোবর: শান্তিতে, ১৩ অক্টোবর: অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোম ও অসলোতে অনুষ্ঠিত হবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। বিজয়ীরা পাবেন ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনারের চেক, একটি মানপত্র ও একটি স্বর্ণপদক।