
এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলের মানবাধিকার কর্মী মাহিনা কোহিয়ানা মাচাদো। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এ ঘোষণা দেয়।
মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নিরলস আন্দোলন এবং দমন-পীড়নের মধ্যেও অবিচল নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে মাহিনা কোহিয়ানা মাচাদো এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
গত বছর (২০২৪) শান্তিতে নোবেল পেয়েছিল জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো, যা হিরোশিমা ও নাগাসাকির পরমাণু বোমা হামলার বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের তৃণমূল আন্দোলন হিসেবে কাজ করছে।
২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি, ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও মানবাধিকারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের জন্য।

এর আগে ২০২২ সালে পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকার আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ সংস্থা মেমোরিয়াল, এবং ইউক্রেনীয় সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।
২০২১ সালে সম্মাননা পেয়েছিলেন সাংবাদিক মারিয়া রেসা (ফিলিপাইন) ও দিমিত্রি মুরাতভ (রাশিয়া) মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তাদের দুঃসাহসিক ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি তিনবার পুরস্কার পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর পেয়েছে দু’বার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে)।
২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই—তার পর থেকে তার চেয়ে কম বয়সে আর কেউ এই পুরস্কার পাননি।