 
    
সম্প্রতি দেশে এক নতুন ধরনের প্রতারণা ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে- বন্ধু বা পরিচিত জন সেজে ফোন বা মেসেজে টাকা ধার চাওয়ার ফাঁদ।
প্রতারকরা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর সুযোগ বুঝে ঘনিষ্ঠ কারও নাম ব্যবহার করে মোবাইলে কল দেয় বা মেসেজ পাঠায়। বলে— “আমি হাসপাতালে ভর্তি, পরিবারের কেউ অসুস্থ, জরুরি টাকার দরকার” কিংবা “বিপদে আছি, এখনই কিছু টাকা পাঠাও।” কথা এমনভাবে বলে, যেন ঘটনাটি সত্যি। আতঙ্কিত মানুষ সাত-পাঁচ না ভেবে বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন। অনেক সময় প্রতারকরা কৌশলে ব্যাংকের ওটিপি নম্বরও হাতিয়ে নেয়।
সম্প্রতি আমার বন্ধু নূরে আলমের মোবাইলে গভীর রাতে অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। কলদাতা আমার নাম ব্যবহার করে অসুস্থতার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা ধার চায়। আমার বন্ধু যাচাই করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে কল কেটে দেয়। এরকম প্রতারণার ঘটনা এখন প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে প্রথমেই দরকার শান্ত থাকা ও তথ্য যাচাই করা। যে ব্যক্তি ফোন বা মেসেজ পাঠিয়েছে, তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলা বা ভিডিও কলে যোগাযোগ করা জরুরি। যাচাই ছাড়া কখনই টাকা পাঠানো উচিত নয়।
এ ছাড়া সন্দেহজনক ফোন বা মেসেজ পেলে দ্রুত পুলিশ বা সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করা যেতে পারে।
প্রযুক্তি আমাদের জীবন সহজ করেছে, কিন্তু প্রতারকরাও সেই সুযোগ নিচ্ছে। তাই সচেতনতা ও সতর্কতাই হতে পারে প্রতারণা প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। মনে রাখতে হবে- “যাচাই ছাড়া অর্থ লেনদেন নয়।” এই সচেতনতা থাকলেই প্রতারণার নতুন ফাঁদ থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।