
এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে আগেই ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ ও ভারত। তারপরেও আজ মঙ্গলবার এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের চতুর্থ ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচটি নিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়া।
নিয়মরক্ষার এই ম্যাচের ১১ মিনিটেই দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে গোল পেয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাঁ পাশ থেকে রাকিবের বাড়ানো পাস ভারতের গোলকিপারের সামনে থেকে টোকা দিয়ে জালে পাঠান মোরছালিন। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি ছিল তাঁর সপ্তম গোল। শেষ মূহূর্তে মোরছালিনের করা গোলটি ধরে রেখে ১-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশকে উৎসবে মাতায় জাতীয় ফুটবল দল। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের পর আবার ভারতের বিপক্ষে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। এই হিসাবে ২২ বছর পর ভারতকে হারালো বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে চলতি বছরের গত ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগে গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
গতকাল খেলার শুরু থেকে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রেরা। ১১ মিনিটে মোরছালিনের গোলের পর আরও বেশ কয়েকবার হামজা, শামিত, জায়ান ও মোরছালিনরা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। তবে আর কোনো গোল করতে সমর্থ হয়নি তারা। ১১ মিনিটে করা মোরছালিনের করা গোলটি ধরে রেখেই প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় অর্ধেও একের পর এক আক্রমণ করে ভারতের রক্ষণভাগকে তটস্ত করে রাখে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। তবে ভুরি ভুরি সুযোগ পেলেও ম্যাচের ৯০ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে আর বল জড়াতে পারেনি হামজারা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভারতের ডিফেন্ডারের হাতের পেছনের দিকে লেগেছিল বল। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পেনাল্টির দাবিতে কান দেননি রেফারি। ১ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতেই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করতে থাকে ভারত। দুবার গোল শোধের খুব কাছে চলে গিয়েছিল ভারতীয়রা। গোল পরিশোধের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেও বাংলাদেশের জালে বড় জড়াতে পারেনি ভারত।
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৯ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৩টিতে, বাংলাদেশ ৩টিতে। ড্র বাকি ১৩টি।