অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের প্রায় অর্ধেকই কন্যাশিশু। তাই ভবিষ্যতের মা ও নাগরিক হিসেবে এই কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা, মানসম্মত শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করে তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।
‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস–২০২৫’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এই কন্যাশিশুরাই আগামীর স্বপ্ন—যারা দেশ মাতৃকার কল্যাণে অকুতোভয়ে কাজ করবে এবং বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “আমি কন্যাশিশু—স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি”—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রতিপাদ্য বলে আমি মনে করি। এই দিনে আমি বাংলাদেশের সব কন্যাশিশু ও তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।”
এ সময় দিবসটি উদযাপনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র–শ্রমিক–জনতার গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারিতে ছিল দেশের কিশোরী ও নারীরা। “তারা আমাদেরকে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে,” মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। কন্যাশিশু ও ছেলে শিশুর সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ বেশ কিছু সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
সবশেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস–২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।


