
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় টানা ২৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের অমানবিক আগ্রাসন চলছেই। হামাস উৎখাত ও জিম্মি মুক্তির নামে প্রতিদিনই চলছে বোমাবর্ষণ, হত্যাযজ্ঞ আর ধ্বংসযজ্ঞ। গাজাবাসী মৃত্যুহীন একটি দিনও পার করতে পারেনি।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬২ ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার কারণে অন্তত ছয় হাজার মানুষ সেদিন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজার তিনটি জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে বোমা ফেলে, যেখানে শত শত শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, কেবল বোমাবর্ষণেই নয়—অবরোধের কারণে অপুষ্টিতে আরও সাতজন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে একাধিক শিশু রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২০; এর মধ্যে ১৪৫ শিশু।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, “অবরোধ ও অব্যাহত হামলার মধ্যে গাজার মানুষ অমানবিক পরিস্থিতি সহ্য করছে।”
গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, প্রতি ১০-১৫ মিনিট পরপর আবাসিক ভবন ও জনসাধারণের স্থাপনাগুলোতে বোমা ফেলছে ইসরায়েলি বিমান। মানুষকে সরে যাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৬৪ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ। পুরো ভূখণ্ডজুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে হাজারো বাড়িঘর, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।