
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বরগাছা ইউনিয়নের একটি গ্রাম ভাদালিয়া। গ্রামের প্রধান রাস্তাটি যুগ যুগ ধরে কাঁচা থাকায় গ্রামবাসীর কষ্টের শেষ নেই। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় গ্রামটি উন্নয়ন, শিক্ষা , চিকিৎসা ও কৃষি পণ্যের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামে হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। গ্রামের লোকজনদের বছরের প্রায় অর্ধেক সময় থাকতে হয় পানিবন্দি অবস্থায়। দিঘিরপাড় – লোক্ষীগোলা রাস্তা ব্রিজের মোড়ে হতে ফুটবল মাঠ হয়ে মসজিদ হয়ে মৃধা পারা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বর্ষাকালে আঠাল মাটির কাদায় চলাচলের অনুপযোগী। কাঁচা রাস্তার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীর।

স্কুল ছাত্র আরিফ জানান, ‘বছরের অর্ধেক সময় পানি আর অর্ধেক সময় শুষ্ক থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তা কাদা হয়ে যায়। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে মাঝে মধ্যে স্কুলে যাওয়া হয় না।’
গ্রামের যুবক শফিকুল ইসলাম জানান, ‘রাস্তা না থাকায় আমরা প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমার নিজের মোটরসাইকেল থাকলেও গ্রামের বাড়িতে আনতে পারি না। পাশের গ্রামে রেখে পাঁয়ে হেটে বাড়িতে আসতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ কোনো গাড়িই গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। এমনকি সাইকেল, ভ্যানও চলে না।’

আরেক বাসিন্দা কাশেম জানান, ‘যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এ গ্রামে কেউ আত্মীয়তা করতে চায় না। আত্মীয়-স্বজনরাও আসতে চায় না। রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসী চরম ভোগান্তির মধ্যে আছে।’
কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ‘ আমরা অনেক কষ্ট করে ইরির ধান ফলায়। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলে আমাদের এই ইরি ধানের দাম প্রতিমনে ৩০০/৪০০ টাকা কমে বিক্রি করতে হয়।
এ বিষয়ে বরগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন মাস্টার বলেন, ‘কাঁচা রাস্তাটি নিয়ে গ্রামবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। আমার জায়গা থেকে রাস্তা পাকাকরণের জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছি ’