দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে নৌ শোভাযাত্রা করেছে নওগাঁয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার পর থেকে পৌরশহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে নৌ শোভাযাত্রা করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নৌ শোভাযাত্রা চলছিল।
নৌশোভাযাত্রায় নওগাঁ সদর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মণ্ডপ থেকে আসা প্রতিমাবাহী নৌকা অংশ নেয়। এ সময় ব্যক্তিগত নৌকার বহরও ছিল।
দুপুরের পর থেকেই নওগাঁ সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পূজা মণ্ডপে দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ার পর শুরু হয় সিঁদুর খেলা। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীরা একে অন্যকে রাঙিয়ে দেন সিঁদুরে। চলে ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ছোট যমুনা নদীর দুপাড়সহ শহরজুড়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নদীর বুকে ছুটে চলা নৌকায় ঢাকের শব্দ এবং মাইকে গানের আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে নদীর তিন কিলোমিটার এলাকা। নদীর দুপাড়ে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর এ দৃশ্য উপভোগ করেন।
নৌ শোভাযাত্রা শেষে প্রশাসনের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে ছোট যুমনা নদীর দহের ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার কথা।
এ বছর জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ৭৯৯টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছে। এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসেন। আবার দোলা বা পালকিতে করে স্বামীর বাড়ি কৈলাশে ফেরেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, এবারের দুর্গা পূজায় মা দুর্গার আসা শুভ হলেও মর্ত্যলোক বিদায়ে রয়েছে বিপদের সংকেত। আগমন উৎকৃষ্টতম বাহন গজ বা হাতি হওয়ায় এটি সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।


