৭ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদর এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং একটি শপিং কমপ্লেক্সেও হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষে বিভক্ত—একপক্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা, অপরপক্ষে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর অনুসারীরা। সম্প্রতি কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তাদের বিরোধ চরমে ওঠে।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উভয় পক্ষের মিছিল মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওয়াপদা মোড়ের কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থাকা মোটরসাইকেলগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, এবং আরও আটজনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
দুই পক্ষই একে অপরের ওপর হামলার অভিযোগ করেছে। শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু অভিযোগ করেন, নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা বহিরাগত লোক এনে তার অফিসে হামলা চালিয়ে আগুন দেয়। অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঝুনু গ্রুপই আগে হামলা চালায় এবং মোটরসাইকেলে আগুন দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঘোষিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে নাসিরুল ইসলামের প্রভাব বাড়ায় ঝুনু গ্রুপের অসন্তোষ তৈরি হয়। এর জেরে শুক্রবারের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রথমবারের মতো সংঘর্ষে জড়ায় দুটি পক্ষ।


