নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার চকাদিন গ্রামে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার প্রায় পাঁচ মাস ধরে পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় । এতে করে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সব খানিই হাঁটু পানি জমে যায়।
জানা যায়, ওখানে পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়াই এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নারী-শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা কয়েক মাস ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে । শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না আক্রান্ত হচ্ছে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগে। উপজেলা প্রশাসন বলছে খুব শীঘ্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করাঝ হবে।
চকাদিন গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে সবুজ জানান, আমরা এই গ্রামের বসবাসরত মানুষগুলো লাগাতার প্রায় ৪ মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে আছি রাত-দিন পরিবার পরিজন নিয়ে সাপ পোকামাকড়ের আতংক নিয়ে বসবাস করতেছি । সরকারের কাছে আমাদের দাবি দুই সড়কে কালর্ভাট দিয়ে পানি নিস্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা করা গেলে এই গ্রামবাসি জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতো ।
উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবু জানান, চকাদিন ওই পাড়ায় শতাধিক পরিবারের বসবাস থাকলেও পানিবন্দীর কবলে পরে আছে প্রায় ১৫টি পরিবার। ওই এলাকায় গ্রামীন সড়কের কিছু কাজ করা হয়েছে । কালভাট কিংবা অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করতে গেলে ওখানকার মানুষগুলো উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগীতা করে না। এমনকি অনেকে জায়গা জমি দিতেও চায় না। তারপরও আমি পানি নিস্কাশনেরর জন্য কালভাট তৈরির পদক্ষেপ নিবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, কাশিমপুর ইউনিয়নের চাকাদিন গ্রামের জলাবদ্ধতার খবর আমি জেনেছি। ওই এলাকার মানুষগুলো চরম দূর্ভোগে আছে। বৃষ্টি নামলে দূর্ভোগের মাত্রা আরো বেরে যায়। খুব শিঘ্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি নিস্কাশনের জন্য স্থায়ী কি সমাধান করা যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


