ডেস্ক রিপোর্টঃ
নওগাঁর ধামইরহাটে বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে একজন নিহত এবং অন্তত ১৭ জন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বাজার এলাকায় গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে। সেখানে প্রায় ৩০০ মানুষের খাবারের আয়োজন ছিল।
নিহত ব্যক্তির নাম, মোজাফফর হোসেন (৩৮)। তিনি উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে। গুরুত্বর অসুস্থদের মধ্যে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন, জয়দেব (৩৩), রেহেনা বেগম (৩৬), বাবু (১০) , জাহিদুল (৩৮) ও মোজাফফর (২৮)। তাঁরা সবাই পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘রোববার রাতে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বাজার এলাকায় আমিরুল ইসলামের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। বিয়ের খাবার খাওয়ার পর আমন্ত্রিত অতিথিদের বমি, পেটব্যথা ও ডায়রিয়া শুরু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাঁরা পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিহত মোজাফফর হোসেন আমার ফুফাতো ভাই। তিনি ওই দিন খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থা গুরুত্বর হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করানো হয়। সেখানে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগ্রাদ্বিগুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আমিরুল ইসলামের ছোট মেয়ে জান্নাতুনের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল গত রোববার রাতে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ও্ই দিন সন্ধ্যায় বরপক্ষের লোকজনকে খাবার খাওয়ানো হয়। বরপক্ষের লোকজন খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর কনেপক্ষের আমন্ত্রিত লোকজনকে খাবার খাওয়ানো হয়। পরে যাবার খাওয়ার খেয়েছেন তাঁরা সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের কারও পেটে ব্যাথা, বমি ও ডায়রিয়া সমস্যার দেখা দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারে কোনোভাবে বিষক্রিয়া হয়ে পড়ায় সেই খাবার খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইও) খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আগ্রাদ্বিগুনে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় ১৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলো। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রেফার্ড নিয়ে রাজশাহীতে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেজবাউল হোসেন বলেন, খাবার খেয়ে অসুস্থ রোগীরা সবাই আজ সোমবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁকে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহীতে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন।


