মাসুদ রানা ,পত্নীতলা (নওগাঁ :
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ঋতু বদলের পালাক্রমে প্রতিবছরই আমাদের আসে শীতকাল। ঋতুভেদে দেখা মেলে নানা ধরনের ফুল ও ফলের। বিভিন্ন ফুলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে দিগন্তজোড়া হলদে সরিষার ফুল।
সেই প্রকৃতির হলুদ কন্যা সাজে সেজেছ
দেশের উত্তরের জনপদ বরেন্দ্র অধ্যুষিত নওগাঁর পত্নীতলায় দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠেগুলো। চোখ যতদুর হলুদের সমারোহ চারদিকে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। এ দিকে মৌয়ালরা কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুল প্রকৃতিতে এক নান্দনিক রূপ দিয়েছে। যেন প্রকৃতি সেজেছে হলুদ কন্যায়।
ফুলের সুবাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে, যা আকৃষ্ট করছে মৌমাছি ও প্রকৃতিপ্রেমীদের। সরিষার ক্ষেতে বসছে পোকা খাদক সুইচোরা, বুলবুলি ও শালিকের ঝাঁক। এই মনোরম দৃশ্য দেখতে এবং ক্যামেরাবন্দি করতে দূর-দূরান্ত থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় করছেন সরিষার মাঠে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে চলতি রবি মৌসুমে সরিষা চাষ করা হয়েছে ৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে।কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সরিষা চাষ, রোগবালাই দমন ও বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
প্রণোদনার আওতায় ৫ হাজার ৫শ জন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ডি.এ.পি-১০কেজি, এম.ও.পি-১০ কেজি ও সরিষা বীজ-১ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। এবার উপজেলায় বারি-১৪ ও বারি-১৫ এবং বারি-১৮ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে বেশি। প্রতি বিঘা জমিতে ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা ফলন হয়।
নজিপুর ইউনিয়নের নাদৌড় গ্রামের কৃষক অনিল চন্দ্র মহন্ত বলেন, আমি ১৬ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছি। গাছ ভাল হয়েছে সব গাছে ফুল এসেছে কিছু গাছে ফল আসছে আশা করছি ফলন ভাল হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো.সোহরাব হোসেন বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম হয় তাই এটি লাভজনক ফসল । সরিষার দাম ভাল থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন। বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।


