নওগাঁ জেলা এ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ নজমুল ইসলাম কবিরাজ এর বিরুদ্ধে আপন ভাইয়ের মেয়েদের (ভাতিজি) বসতবাড়ি ও জমি দখলের চেষ্টা, হামলা , মামলাসহ পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আফিয়াতুন নাওশিন নামের ভুক্তভোগী এক নারী।
শনিবার বেলা ১১ টায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আফিয়াতুন নাওশিন (৩২) নওগাঁ শহরের উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা । অভিযুক্ত এ্যাডভোকেট মো: নজমুল ইসলাম কবিরাজ তার পিতা ইত্তেহাদুল ইসলাম কবিরাজের সহোদর ভাই (চাচা)। তাদের পরিবারের একমাত্র সম্পত্তি — নওগাঁ সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ীয়া মৌজার আরএস খতিয়ান নং ২৮২, দাগ নং ৫১৬, ৫১৭, ৫১৮ তে অবস্থিত তিনতলা বসতবাড়ি ও ফাঁকা জমি — জবরদখলের উদ্দেশ্যে তার চাচা নজমুল ইসলাম কবিরাজ আফিয়াতুনসহ তার ২বোন ও বাবা-মাকে আসামী করে ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন এবং থানায় একাধিক অভিযোগ ও জিডি দায়ের করেন। যার মধ্যে ৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ১টি মামলা চলমান রয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম নওগাঁ ইউনিটের সদস্য এবং সরকারি সহকারী আইন কর্মকর্তা (এপিপি)। ভুক্তভোগী পরিবার যাতে আইনের সুবিধা না পায় তার জন্য নজমুল ইসলাম তার দলীয় প্রভাব ও সরকারী পদবী ব্যবহার করে অতীতে অনেক মামলায় আসামীর পক্ষে কোন আইনজীবিকে দাঁড়াতে দেন নাই। আবার আসামীর পক্ষের আইনজীবিকে নানা ভাবে হেনস্থা করার নজির রয়েছে।
আফিয়াতুন নাওশিন কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, চাচার মামলার কারনে তিনি ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর চাকুরী হারিয়েছেন। মামলায় হাজিরা দিতে দিতে তার পরিবার আজ ক্লান্ত ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তিনি এর সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার চান। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে তার চাচা বাধার সৃষ্টি করছেন। মানসিক ও সামাজিক ভাবে হয়রানীর উদ্দেশ্যে এবং গতি বিধি পর্যবেক্ষনের জন্য তার চাচা আফিয়াতুনদের বাসার সামনে ৩টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে রেখেছে।
ভুক্তভোগী আফিয়াতুন নাওশিন ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও নওগাঁ সদর মডেল থানায় একাধিক দরখাস্ত ও জিডি দাখিল করেছেন। বার কাউন্সিল ও নওগাঁ জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনে অভিযোগ করলেও অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে এ্যাডভোকেট মোঃ নজমুল ইসলাম কবিরাজের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


