সাপাহার (নওগাঁ) সংবাদদাতা:
নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে মারপিট ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪ অক্টোবর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মোঃ আনিসুর রহমান (৩৪) এই ঘটনায় আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) ৫ জনের বিরুদ্ধে সাপাহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৯টায় বিবাদী মোঃ আজাহার আলী (৪৫), মোঃ আঃ মজিদ (৪০), মোঃ নূর আলম (৩৪), মোঃ আরিফুল (৩০), ও মোঃ আবিদ হোসেন (১৯) সহ আরও কতিপয় ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে আনিসুর রহমানের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আনিসুর রহমান বাধা দিলে ১নং বিবাদী আজাহার আলী তাকে “দুনিয়া থেকে বিদায় করে দে” বলে হুকুম দেন। এরপর ২নং বিবাদী আঃ মজিদ তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আনিসুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন। আনিসুর রহমান মাথা সরিয়ে নিলে আঘাত মাটিতে লাগে। এরপর আঃ মজিদ তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে গুরুতর জখম করেন।
আনিসুর রহমান মাটিতে পড়ে গেলে ৪নং ও ৫নং বিবাদী মোঃ আরিফুল ও মোঃ আবিদ হোসেন তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে হাত-পায়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। এছাড়া, তার পরিহিত কাপড় টেনে হিঁচড়ে প্রায় বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসময় সাক্ষী মোঃ আমিনুল ইসলাম (৪০), মোসাঃ মনি খাতুন (২০), ও মোসাঃ রেহেনা (৪০) সহ স্থানীয় লোকজন আনিসুর রহমানকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে বিবাদীরা তাদের খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে আনিসুর রহমানকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আনিসুর রহমান ইসলামপুর মৌজার ৯৭ নং খতিয়ানের ৩৭৬ নং হাল দাগের ২৫ শতক জমির দলিল সূত্রে মালিক ও ভোগদখলকারী। বিবাদীরা অন্যায়ভাবে উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করার চেষ্টা করে আসছিল। ঘটনার পরদিন ২৫ অক্টোবর বিকাল ৫টার দিকে বিবাদীরা আনিসুর রহমানের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে জোরপূর্বক আমগাছ লাগিয়ে দিয়েছে।
সাপাহার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকায় অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে বলে আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।
এবিষয়ে প্রতিপক্ষের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


