ডেস্ক রিপোর্টঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ছালেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাপাহার উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাপাহার উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
- এর আগে দলে বিভক্তি ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সম্পর্কে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিকেল ৫টায় সাপাহার উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান চৌধুরী (লাবু)-এর নেতৃত্বে উপজেলা সদরের মেডিকেল মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য ও নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছালেক চৌধুরী এক-এগারোর সময় সংস্কারপন্থী ছিলেন এবং গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে দলে বিভক্তি সৃষ্টি করেছিলেন।
বর্তমানেও বিএনপি যখন একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমানকে মনোনীত করেছেন, তখন তিনি ও তাঁর অনুসারীরা অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে ছালেক চৌধুরী ও তার অনুসারীরা। দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য ছালেক চৌধুরীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান চৌধুরী (লাবু) বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড অনেক যাচাই-বাছাই করে সৎ ও যোগ্য নেতা হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমানকে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনীত করেছেন। আমরা ধানের শীষের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তার পক্ষেই কাজ করতে চাই। তাই দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করবে, তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে সবাইকে দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এসময়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুন নুর, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোকলেছুর রহমান (মুকুল), সহ-সভাপতি আব্দুল কাহার মাস্টারসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


