পাবনার সাঁথিয়ায় সরকারি ভাতা দেওয়ার কথা বলে অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, গর্ভবতী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। টাকা নেওয়ার পর ভাতার কার্ড না দেওয়ায় অভিযুক্ত সদস্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা। কেউ কেউ টাকা ফেরত চাইলে পাচ্ছেন হুমকিও।
টাকার বিনিময়ে ভাতার প্রতিশ্রুতি স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জামিরন খাতুন বিভিন্ন অসহায় মানুষের কাছ থেকে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিচ্ছেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কার্ড করে দেননি তিনি।
ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের জয়বাহার খাতুন বলেন,
অন্যের বাড়িতে কাজ করে তিন হাজার টাকা দিয়েছিলাম মেম্বারকে। ভাতার কার্ড দেয়নি, উল্টো টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেয়।”
একইভাবে বিষ্ণুপুর গ্রামের জয়নাল (৬৮) জানান, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ২ হাজার টাকা দিয়েছেন, কিন্তু তিন বছরেও কার্ড পাননি।
আরও ভুক্তভোগীর অভিযোগ বিষ্ণুপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ওরফে ভগলা (৬৬)-এর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা, প্রতিবন্ধী বারেক শেখ-এর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা, এবং গর্ভবতী ভাতার নামে হাবিলের স্ত্রী শামীমা ও চতুরের স্ত্রী স্বপ্না—দুজনের কাছ থেকে যথাক্রমে ৫ ও ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়াও গ্রামের আরও কয়েকজনের (রেজাই, আনজাত, আ. সাত্তার প্রমুখ) কাছ থেকেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দুই একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তাদের দিয়েছি। একজনের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়েছিলাম, সময় হলে তাকে ভাতার কার্ড করে দেব। গর্ভবতী ভাতার বিষয়েও তারা মিথ্যা বলছে।”
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, আবেদনকারী যদি ভাতার যোগ্য হন, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।”


