যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল সংকট ও বিশ্বব্যাপী অর্থ ঘাটতির কারণে জাতিসংঘ আগামী কয়েক মাসে ৯টি শান্তি রক্ষা মিশনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ (২৫%) সৈন্য ও পুলিশ ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার শান্তিরক্ষী এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক কর্মী তাদের সরঞ্জামসহ প্রত্যাহার করা হবে।
এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লেবানন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম সাহারা, কসোভো, সাইপ্রাস, ইসরায়েল ও সিরিয়ার গোলান উচ্চ ভূমি এবং আবিই (সুদান-দক্ষিণ সুদান যৌথ শাসিত এলাকা)-এর শান্তি রক্ষা মিশনে প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শান্তিরক্ষী কমানো বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষা কার্যক্রমের কার্যকারিতা ও প্রভাবকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করতে পারে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৫ হাজার ২৩১ জন শান্তিরক্ষী (৪৪৭ জন নারীসহ) দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা যাত্রা শুরু হয়।
জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা তহবিলের সবচেয়ে বড় অংশ সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র, যা মোট তহবিলের ২৬% এর বেশি। তবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বকেয়া তহবিল ২.৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বাতিল করেছেন এবং ২০২৬ সালের জন্যও তহবিল প্রত্যাহারের প্রস্তাব রেখেছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সংস্থার কার্যকারিতা বাড়ানো ও ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছেন। বিশ্লেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের একপক্ষীয় তহবিল প্রত্যাহারকে বিশ্ব শান্তি রক্ষার উদ্যোগে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন।
সূত্রঃ রয়টার্স।


