ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলন্ত একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বিস্ফোরিত হয় যাত্রীবাহী একটি বাস, এরপর মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুরো যানটি। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২১ জন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে কুর্নুল জেলার চিন্নাটেকুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাসটিতে মোট ৪১ জন যাত্রী ছিলেন। এখন পর্যন্ত ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ২০ জনের মধ্যে ১১ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে, আর ৯ জনের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত। আহতদের কুর্নুল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
পুলিশ জানায়, বেসরকারি মালিকানাধীন বাসটি ৪৪ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক ধরে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে পড়ে যায় এবং জ্বালানি ট্যাংকে আঘাত হানে। এতে সঙ্গে সঙ্গে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে ও বাসে আগুন ধরে যায়। শর্ট সার্কিটের কারণে দরজা আটকে যাওয়ায় অনেক যাত্রী ভেতরেই আটকা পড়ে আগুনে পুড়ে যান।
দুর্ঘটনার সময় বেশিরভাগ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। কেউ কেউ জানালা ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারলেও অনেকে আর বের হতে পারেননি। স্থানীয়রা যাত্রীদের চিৎকার শুনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, তবে ততক্ষণে বাসটি সম্পূর্ণভাবে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। তার সন্ধানে অভিযান চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতি এবং অসতর্কতাই দুর্ঘটনার মূল কারণ।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নায়ডু। তিনি বর্তমানে সরকারি সফরে দুবাইয়ে রয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যসচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (X)-এ দেওয়া এক পোস্টে নায়ডু বলেন,
“অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে বাসে আগুন লেগে বহু প্রাণহানি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”


