ইসরায়েলের হেফাজতে আটক অবস্থায় নিহত আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজা উপত্যকায় ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল। ফেরত পাওয়া মরদেহগুলোর অনেকটির গায়ে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর—আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি, অনেক মৃতদেহে চোখ বাঁধা, হাতকড়া ও পোড়া দাগ ছিল। কারও শরীর থেকে অঙ্গ বা দাঁতও নিখোঁজ পাওয়া গেছে। চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, মৃতদেহগুলো শনাক্তের কাজ এখনো চলছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির মাধ্যমে মরদেহগুলো গাজায় ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ এই ৩০ জনের দেহ ফেরতের পর ইসরায়েলের কাছ থেকে মোট ২২৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মরদেহ গাজায় ফিরেছে।
বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ এই ফেরত কার্যক্রমটি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান বন্দিুজিম্মি বিনিময় চুক্তির অংশ। চুক্তি অনুযায়ী, হামাস এখন পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি মুক্ত করেছে, আর ইসরায়েল ছেড়ে দিয়েছে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দি।
একই চুক্তির আওতায় হামাস ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে; এখন পর্যন্ত ১৭ জনের দেহাবশেষ ফেরত দিয়েছে তারা।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর থাকলেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবারের হামলায় অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি গুলিতে একজন নিহত ও তার ভাই আহত হন। এছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে শেলিংয়ে একজন নিহত হন এবং আগের হামলায় আহত আরেকজন ফিলিস্তিনি পরে মারা যান।
মানবিক সহায়তা এখনও বাধাগ্রস্ত যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল এখনো গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংগুলো খুলে দেয়নি। ফলে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ুফিলিস্তিনিরা এখন জাতিসংঘের গুদাম থেকে খাবার ও ওষুধ পেতে প্রকৃত অর্থেই সংগ্রাম করছে।”
সেনা আইনজীবী বরখাস্ত অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাদের ফিলিস্তিনি বন্দির ওপর যৌন নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের পর দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান আইনজীবী ইফাত তোমার-ইয়েরুশালমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর কুখ্যাত সাদেই তাইমান আটক কেন্দ্রে, যেখানে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকের মত লন্ডনের কিংস কলেজের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিভাগের প্রভাষক রব গেইস্ট পিনফোল্ড মন্তব্য করেছেন—
জিম্মি বিনিময়ের চুক্তি সত্ত্বেও এমন সহিংসতা ও প্রতিশোধমূলক হামলা চলবে, তা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল।”


