
নেপালে তরুণ প্রজন্মের সরকারবিরোধী সহিংস আন্দোলনের মধ্যে আটকে পড়া সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সামরিক হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সেনা হেলিকপ্টারের ঝুলন্ত রশি ও রেসকিউ বাস্কেট ধরে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। পরে তাদের নিরাপদে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলের ছাদে নামিয়ে দেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে নেপালে বিক্ষোভ শুরু হলে রাজধানী কাঠমান্ডুতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। বিক্ষোভকারীরা কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বাড়িতেও হামলা চালায় এবং সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অন্য এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পোড়েলকে রাস্তায় ধাওয়া করে বিক্ষোভকারীরা লাথি মেরে আঘাত করছে। আরেক ফুটেজে দেখা যায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু রানা ও তার স্বামী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে জনতা। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় দেউবাকে মাটিতে বসে থাকতে দেখা যায়। পরে সেনারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
নেপালের চলমান অস্থিরতায় রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিও নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে।