
জেন-জি’র নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল নেপাল। তার ফলে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য অনেক মন্ত্রী। কিন্তু অস্থিরতা এখনো কাটেনি। এর মধ্যেই তরুণ নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের ভেতর ‘বিভাজন তৈরি’ করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন পক্ষ। এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

দিবাকর দঙ্গল নামে একজন জেন-জি নেতা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা এখনো নেতৃত্ব গ্রহণের (দেশের) মতো যোগ্য নই। নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য যথেষ্ট পরিপক্ক হতে আমাদের সময় লাগবে। তবে আমাদের ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,
দলের কিছু সদস্যের ভুল ধারণা আছে যে তারা অনুপ্রবেশ করে (জেন-জিদের মধ্যে) বিভাজন তৈরি করতে পারবে। এই রক্তপাত আপনাদের (পুরনো নেতাদের) কারণে। মানুষ যদি রক্তপাত শুরু করে, তাহলে তারা টিকবে না।
তরুণরা রক্তপাত চায় না উল্লেখ করে দিবাকর বলেন, ‘আমরা সংসদ ভেঙে দিতে চাই, কিন্তু সংবিধান বাতিল করতে চাই না।’ খবর এনডিটিভি’র।
এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালের আন্দোলনটি ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা ছিনতাই করেছে’ বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মঙ্গলবারের বিক্ষোভ নেপালের জেন-জিদের আয়োজিত। এটি একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতির অবসান। আমাদের আন্দোলন অহিংস ছিল, এখনও আছে এবং শান্তিপূর্ণ নাগরিক সম্পৃক্ততার নীতিতে প্রোথিত।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তারা (বিক্ষোভকারী) পরিস্থিতি ‘দায়িত্বের সঙ্গে পরিচালনা’, নাগরিকদের সুরক্ষা এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য সক্রিয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে আর কোনো বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেই এবং প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে কারফিউ বাস্তবায়নের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করা বা অন্যদের আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্যোগের অপব্যবহার করার সুযোগ দেয়া ছিল না।