ফিলিস্তিনের গাজায় টানা ২৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস উৎখাত ও জিম্মি মুক্তির নামে প্রতিদিনই নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নিরঙ্কুশ সমর্থনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলাকালেই নতুন হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে স্থবির হয়ে যায় আলোচনার অগ্রগতি। তবে এ অবস্থায়ও গাজায় গণহত্যা থামানোর একটি পথ এখনও খোলা আছে বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনকে আরও বেশি দেশ স্বীকৃতি দিলেই গাজায় গণহত্যা বন্ধের পথ সহজ হবে। পাশাপাশি যেকোনো সামরিক অভিযানে সহযোগিতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”
তিনি জরুরি ভিত্তিতে গাজার অনাহারগ্রস্ত ও আহত মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা ও সদ্য মা হওয়া নারীদের জন্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশন সামনে রেখে জেসিন্ডা বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে জলবায়ু সংকট—সব মানবিক বিপর্যয়ে শক্তিধর দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে আমাদের শুরুটা করা উচিত গাজা থেকেই।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। একইসঙ্গে ধ্বংস হয়েছে গাজার ৮০ শতাংশ অবকাঠামো। সম্প্রতি নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, গাজা দখল করে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ গড়তে চান তিনি, যেখানে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।


