দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রায় একই সময়ে এ তিন শক্তিশালী দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ঘোষণা করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর যারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের প্রতি আমার স্পষ্ট বার্তা— আপনারা সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করছেন। এটি কোনোভাবেই হবে না। জর্ডানের পশ্চিমদিকে কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে না।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জবাব দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন, “শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করতে যুক্তরাজ্য আজ থেকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।”
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি একইসঙ্গে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জন্য শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গঠনে অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি দেন।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকেও এক বিবৃতিতে বলা হয়, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ, আর সে কারণেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ আল-জাজিরা


