চা-এর কাপ হাতে এ দেশে অনেক কিছুই হয়—সকালের ঘুম ভাঙানো থেকে শুরু করে বিকেলের আড্ডা জমে ওঠা পর্যন্ত। রাজনীতির তর্ক-বিতর্ক থেকে প্রেমের আলাপ, সবই যেন ুএক কাপ চায়ে”। কিন্তু এই ধোঁয়া ওঠা গরম চা মাঝেমধ্যে বিপদও ডেকে আনে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুধ চা—ঘন দুধ, চা পাতা, আদা, এলাচের মিশেলে তৈরি এই পানীয় একদিকে যেমন চাঙ্গা করে, অন্যদিকে অনেকের জন্যই তা অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে বুকজ্বালা বা অম্বলের সমস্যায় পড়েন অনেকে।
তবে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি জানাচ্ছেন, চায়ের স্বাদ ছাড়াই অম্বলের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব—যদি চা বানানোর পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা যায়।
চিকিৎসকের পরামর্শে তৈরি অম্বলমুক্ত চা” পদ্ধতি:
দুধ বাদ দিন: দুধে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাট হজমে জটিলতা বাড়ায় এবং অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই পরিবর্তে লাল চা খাওয়া উত্তম। লাল চায়ে থাকা পলিফেনল শরীরের প্রদাহ কমায় এবং হজমে সাহায্য করে।
আদা যোগ করুন: ফুটন্ত পানিতে চা পাতা দেওয়ার সময় কয়েক টুকরো আদা দিন। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও পেটের অস্বস্তি কমায়।
এলাচ ব্যবহার করুন: এক-দুটি ছোট এলাচ থেঁতো করে দিন চায়ে। এটি পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা কমায় এবং চিনি ছাড়া হালকা প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব যোগ করে।
লবঙ্গ দিন: লবঙ্গে থাকা ইউজিনল লিভারের কার্যকারিতা ভালো রাখে এবং প্রদাহ কমায়।
অল্প ঠান্ডা করে পান করুন: খুব গরম চা নয়, ঈষদুষ্ণ অবস্থায় অল্প অল্প করে পান করুন। এতে হজমে সহায়তা হয় এবং মুখ-গলা পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে না।
অতিরিক্ত টিপস: চা যদি দিনে দুই কাপের বেশি পান করতে হয়, তাহলে রাতে খালি পেটে নয়—খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর পান করাই উত্তম।


