অস্ট্রেলিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ড. অ্যান অ্যালি এই সপ্তাহে সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসছেন। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর করা এবং বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করাই এ সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সফরকালে ড. অ্যালি অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্ব পরিকল্পনা ২০২৫–২০৩০ চালু করবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হবে।
নতুন অংশীদারিত্ব কাঠামো টেকসই প্রবৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন, এবং জলবায়ু সহনশীলতা—এই তিন খাতে দুই দেশের সহযোগিতা আরও সুসংহত করার দিকনির্দেশনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ড. অ্যালি বলেন, “অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের পথে উত্তরণকে স্বাগত জানায় এবং এই প্রচেষ্টাগুলোকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সফরকালে ড. অ্যালি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন, যেখানে বাংলাদেশ বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে। পরিস্থিতিকে “এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও জটিল মানবিক সংকট” বলে উল্লেখ করে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত মানবিক সহায়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়া আগামী তিন বছরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য অতিরিক্ত ৩৭০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ২৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার করেছে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটে অস্ট্রেলিয়ার মোট প্রতিশ্রুতি দাঁড়িয়েছে ১.২৬ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের মতে, এই সফর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ড. অ্যান অ্যালির ঢাকা সফর বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মানবিক সহযোগিতা এবং জনগণের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে।


