তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামলেও তারা রাজধানীর হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে সচিবালয়ের দিকে যেতে হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায় পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এরপর তারা সেখানেই অবস্থান শুরু করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) শিক্ষকরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে দোয়েল চত্বর ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মো. কাউসার বলেন, “আমরা তিন দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি না মানা পর্যন্ত এখানেই থাকব। আমাদের নিয়োগ হয় সরকারিভাবে, কিন্তু আমরা সরকারি শিক্ষকদের অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত।”
তিনি জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাসাভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসবভাতা চান।
যশোর থেকে আসা শিক্ষক নাজমুল হক তুহিন বলেন, “এক হাজার টাকায় এখন বাসা ভাড়া দেওয়া অসম্ভব। আগে ৫০০ টাকা ছিল, সেটাও বাড়িয়ে দিয়েছে। চিকিৎসাভাতা এখনো ৫০০ টাকায় আছে, যা একেবারেই অযৌক্তিক।”
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই দাবি না মানলে আন্দোলন জাতীয়করণের দাবিতে রূপ নেবে। দেশের ৮০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তারা।
ঘটনাস্থলে থাকা রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, “আমরা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছি। তাদের সড়ক ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সরে যাবেন।”


