
যশোরের অভয়নগরে হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম (২৩) নামের এক শিক্ষক ছাত্রকে শাসন করার কারনে ছাত্রের বাবা তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ছাত্রের বাবা জাহাঙ্গীর শেখের (৪৫) বিরুদ্ধে।
গত রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ মাদরাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। রোববার ঘটনাটি ঘটলেও বিষয়টি নিয়ে সোমবার আলোচনায় এসেছে। ভুক্তভোগী মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম নওয়াপাড়া পৌরসভার গুয়াখোলা গ্রামের শাহজাহান ফারাজীর ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৯) দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসায় পড়ালেখা করছে। তবে বিল্লাল লেখাপড়ায় অনেক অমনোযোগী ছিলেন। পড়াশোনায় তার কোনো উন্নতি হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় ছেলেকে শাসনের মধ্যে রেখে পড়া আদায় করতে বলেন ছাত্র বিল্লালের বাবা জাহাঙ্গীর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে বিল্লাল পড়া না পারার কারণে লাঠির আঘাত করে শাসন করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। এর কারনে রেগে যান জাহাঙ্গীর শেখ। রোববার বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে এসে হটাৎ শিক্ষকের ওপর হামলা চালান। এ সময় মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। আহত অবস্থায় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান সবুজ জানান, রফিকুল ইসলাম নামের এক মাদরাসা শিক্ষকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। তার মাথা ফেটে যাবার কারনে ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম বরেন্দ্রকন্ঠকে বলেন, একজন শিক্ষককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। সে বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে সে বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।