নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী শিশুসহ ১৮ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
নওগাঁ ১৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন- খুলনার মহারাজপুরের সাত্তার গাজীর ছেলে বাদশা মিয়া (২০) ও মো. ইমরান গাজী (৩৪), কয়রা থানার কয়রা গ্রামের রুহুল আমিন মোড়লের ছেলে নাজমুল হাসান (২৪), দিঘলিয়া থানার মাধবপুর গ্রামের মৃত কাশেম শেখের মেয়ে সুমা মোল্লা, মোজাদ্ধের মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা, নড়াইলের কালিয়া থানার বালাম শিকদারের মেয়ে নুপুর খানম (২২), আসমাউল শেখের মেয়ে আশিকা (৪), বালাম শেখের মেয়ে মুনিয়া খাতুন (১৮), রহিম শেখের মেয়ে রাকেয়া শেখ (২৮), গুড্ডু শিকদারের ছেলে বাবু শিকদার (১৭), কামাল শিকদারের মেয়ে প্রিয়া শিকদার, পেরুলিয়া গ্রামের মিলন শেখের মেয়ে ফাতেমা শেখ (০৭), কামাল শিকদারের মেয়ে ববিতা শিকদার (৩৫), যশোরের কোতয়ালী থানার বসুনন্দিয়া গ্রামের জহির আলী খানের মেয়ে দুলি বেগম (৪০)।
জানা যায়, ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে গতকাল রাতে ১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। পরে রাত ৩টার দিকে সীমান্ত পিলার ২৭১/১ এস থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কালুপাড়া এলাকা থেকে তাঁদেরকে আটক করে বিজিবি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদেরকে ধামইরহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। এদের মধ্যে তিনজন শিশু। তাঁদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল ও যাশোরের বিভিন্ন এলাকায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
এদিকে রাতের সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া এলাকা দিয়ে চারজন বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সীমান্তের ২৪৬/২ এস পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ওই চারজনকে আটক করে বিজিবি। পরে তাঁদেরকে সাপাহার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।
এ বিষয়ে ধামুইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জানান, বিজিবির হস্তান্তর করা ওই ১৪ নারী-পুরুষকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি করা পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের কাছ চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সাপাহার থানার ওসি আব্দুল আজিজ বলেন, বিজিবির হস্তান্তর করা ওই চারজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এদের মধ্যে দুইজনই শিশু। তাঁরা চারজনই একই পরিবারের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছে তাঁদের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। তাঁদের দাবি করা পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এর আগে ৩১ জুলাই নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তের আগ্রাদ্বিগুন এলাকা দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।


