
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা দাবি করেছেন, গত ১৬ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মসজিদে আজান দিতে দেয়নি ছাত্রলীগ। ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ডাকসুতে ছাত্রশিবির জয়ী হওয়ার পর থেকে ওই মসজিদে আজান শুরু হয়।
ভিডিওটি প্রকাশের পর মুহসীন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, মুহসীন হলের মসজিদে নিয়মিত আজান ও নামাজ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, কখনোই আজান বন্ধ ছিল না।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে একটি ঐতিহ্যবাহী হলে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করা হয়েছে এবং হলের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তাঁরা হল প্রশাসনের কাছে লিখিত প্রতিবাদলিপি জমা দেন এবং মুফতি আমির হামজার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতারা বলেন, “আমির হামজার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। মুহসীন হলের মসজিদে প্রতিদিন আজান দেওয়া হয় এবং শিক্ষার্থীরা নামাজ আদায় করেন। তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তা ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।”
অন্যদিকে, হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হয়।
উল্লেখ্য, ভিডিওটি ঘিরে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চললেও, মুফতি আমির হামজা এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি।