অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশ। পর্যটন শিল্পকে যথাযথভাবে বিকশিত করতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি পরিবেশগত অবক্ষয় রোধে দায়িত্বশীল অবদান রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে পর্যটন এখন স্বীকৃত। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও এ খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. ইউনূস জানান, পর্যটন শিল্পের বিকাশে একদিকে দেশের পর্যটন অঞ্চলগুলোর সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে, অন্যদিকে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণেও সচেতনতা বাড়ছে। জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ঘোষিত এবারের প্রতিপাদ্য— ‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’— যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্য নিদর্শন, নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, ঐতিহ্যবাহী খাবার ও অকৃত্রিম আতিথেয়তা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম। সরকার এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে কাজ করছে।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চলগুলোর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, স্থানীয় সংস্কৃতির বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্প্রসারণ, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


