ভোট মানুষের অন্যতম মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত এই অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন দেশের সাধারণ মানুষ। সেই সময়ে বাক স্বাধীনতাও ছিল সীমিত। বিপক্ষে কথা বললেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো—গুমের শিকার হতে, কিংবা মিথ্যা মামলার আসামি হতে।
কিন্তু এবার পরিস্থিতি পাল্টেছে। ভোটের অধিকার ফিরে এসেছে। সামনে নির্বাচন, আর শাহজাদপুরে শুরু হয়েছে আনন্দঘন ভোটের পরিবেশ—এক প্রকৃত ভোটের উৎসব। প্রতিদিন ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে জনসংযোগ, উঠান বৈঠক এবং ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ।
এখন পর্যন্ত দুইটি দলের প্রার্থী ও সমর্থকরা মাঠে সক্রিয়ভাবে জনসংযোগ করছেন। বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ডা. এম. এ. মুহিত জনসংযোগ চালাচ্ছেন, সেখানে গোলাম সারোয়ারও মাঠে রয়েছেন। অন্যদিকে, জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মিজানুর রহমান তার কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট হুমায়ুন কবিরও নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়।
শাহজাদপুর উপজেলায় মোট ১৩টি ইউনিয়ন, যা সিরাজগঞ্জ-৬ সংসদীয় আসন গঠন করে।
কৈজুরী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রঞ্জিত ও আবদুর রউফ সরদার জানান, গ্রামে ভোটের উত্সব শুরু হয়ে গেছে। ভোটাররা অধীর আগ্রহে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন।
রবিউল ইসলাম রঞ্জিত বলেন, এ আসনে ভোট হবে দিনের বেলায়। রাতের ভোট হবে না। বিগত সরকারের আমলে তিনিও মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, মানুষের মধ্যে ততোই ভোটের আমেজ তৈরি হচ্ছে। প্রত্যাশী প্রার্থীরা যেমন জনসংযোগ করছেন, ভোটাররাও তেমনি সক্রিয়ভাবে সাড়া দিচ্ছেন।


