অনেকের কাছেই যুক্তরাষ্ট্র এক স্বপ্নের দেশ। কেউ যান পড়াশোনার জন্য, কেউ চাকরি বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ—ভিসা পাওয়া—অনেকের কাছেই কঠিন মনে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক প্রস্তুতি ও সততা বজায় রাখলে এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
প্রোফাইল হতে হবে পরিষ্কার ও বাস্তবসম্মত।
ভিসা আবেদনপত্রে দেওয়া তথ্য অবশ্যই সত্য ও পূর্ণাঙ্গ হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরি বা ব্যবসার তথ্য ভুলভাবে দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই প্রতিটি তথ্য যাচাই করে ফর্ম পূরণ করা জরুরি।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন।
পাসপোর্ট, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়ের প্রমাণ, শিক্ষাগত সনদ, চাকরির নিয়োগপত্র বা ব্যবসায়িক নথি—সব কিছু ঠিকঠাকভাবে প্রস্তুত রাখা উচিত। এগুলো আবেদনকারীর আর্থিক সক্ষমতা ও দেশে ফেরার নিশ্চয়তা প্রদর্শন করে।
সাক্ষাৎকারই চূড়ান্ত ধাপ।
ভিসা অফিসার সাক্ষাৎকারে আপনার উদ্দেশ্য, ভ্রমণের কারণ ও দেশে ফেরার পরিকল্পনা যাচাই করেন। এই সময় সংক্ষিপ্ত, আত্মবিশ্বাসী ও স্বচ্ছন্দভাবে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্দেশ্য জানান স্পষ্টভাবে।
পড়াশোনা, সাংবাদিকতা, বা ভ্রমণ—যে কারণেই হোক, নথিপত্র যেন বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। শিক্ষার্থী হলে ভর্তিুনিশ্চয়তার কাগজ, সাংবাদিক হলে পরিচয়পত্র ও অ্যাসাইনমেন্টুলেটার থাকা জরুরি।
দেশে ফেরার প্রমাণ দিন।
স্থায়ী চাকরি, সম্পত্তি বা পারিবারিক দায়িত্বের নথি উপস্থাপন করলে তা দেশে ফেরার নিশ্চয়তা হিসেবে বিবেচিত হয়।
ভ্রমণ ইতিহাসও বড় ভূমিকা রাখে।
আগে বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সততা, প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস—এই তিনটি বিষয় মেনে চললে আমেরিকার ভিসা পাওয়া কঠিন কিছু নয়, বরং সম্ভাবনাময় বাস্তবতা।


