লবঙ্গ শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, এটি প্রাকৃতিকভাবে অসংখ্য স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর একটি মশলা। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও প্রদাহবিরোধী গুণের কারণে লবঙ্গকে প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, লবঙ্গ কেবল রান্নার উপাদান নয়, এটি এমন একটি প্রাকৃতিক মশলা যা শরীরের সার্বিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সকালে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে লালা উৎপাদন বাড়ে, যা হজমে সহায়তা করে।
বমি বমি ভাব ও অ্যাসিডিটি দূর করে।
কাশি দমন ও গলা ব্যথা উপশমে কার্যকর।
বার্ধক্য বিলম্বিত করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে মুখগহ্বর সতেজ রাখে।
জয়েন্ট ব্যথা উপশমে সহায়তা করে।
শরীরের জন্য উপকারিতা
লবঙ্গের নিয়মিত সেবনে রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে, হজমের উন্নতি হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এটি লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও বিশেষভাবে উপকারী।
ভারতীয় ফিটনেস টেক প্রতিষ্ঠান জিওকিউআইআই-এর পুষ্টিবিদের মতে, লবঙ্গের ইউজেনল ও থাইমল যৌগ লিভারের কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে এবং লিভার ডিটক্সে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
চিবিয়ে খেতে না পারলে বিকল্প উপায়
সকালের ওটমিলে সামান্য লবঙ্গগুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন।
দই বা চায়ের সঙ্গে ছিটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
মাংসের ম্যারিনেড বা বেকিং রেসিপিতেও ব্যবহার করা যায়।
সতর্কতা
যদিও লবঙ্গের রয়েছে নানান উপকারিতা, তবে অতিরিক্ত সেবনে মুখে জ্বালা, অ্যাসিডিটি বা লিভারে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রতিদিন খালি পেটে ১ু২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়াই যথেষ্ট।
প্রাচীন আয়ুর্বেদেও লবঙ্গকে বলা হয়েছে ুপ্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক”, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে রাখে সতেজ ও শক্তিশালী।


