
আদিবাসী নারীরা জাতিগত, লিঙ্গগত, ভাষাগত, ধর্মীয় ও শ্রেণিগত কারণে সমাজে বৈষম্যের শিকার হন, যা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। আদিবাসী নারীদের বিরুদ্ধে সকল ধরণের বর্ণগত ও লিঙ্গ বৈষম্য এবং নিপীড়নের অবসান ঘটাতে আদিবাসী নারীদের ক্ষমতায়ন এবং শক্তিশালীকরণ অপরিহার্য।
মঙ্গলবার নওগাঁ শহরের আয়োজন কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে ‘আদিবাসী নারীদের জীবিকা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ভূমি সুরক্ষা’ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। নারী অধিকারভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাদাবন সংঘ এই কর্মশালার আয়োজন করে। ‘বাংলাদেশ ও নেপালের নারী সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জ্ঞান বিনিময়’ প্রকল্পের প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাদাবন সংঘ ও নেপালের নারী অধিকারভিত্তিক সংগঠন জাতীয় আদিবাসী নারী ফোরাম (এনআইডাব্লিউএফ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বাদাবন সংঘের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারিহা জেসমিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও নেপালে আদিবাসী নারী অধিকারের চিত্র নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময় প্রকল্পের প্রতিনিধি ইয়াংজি লামা। এছাড়া কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অনগ্রসর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাজকুমার শাই, উন্নয়ন সংগঠন মাসাউসের নির্বাহী পরিচালক মেরিনা হাসদা, বাদাবন নারী সংঘের নারী সদস্য হৈমন্তী সরকার, ডেমোক্রেসিওয়াচের প্রতিনিধি কামাল হোসেন প্রমুখ।
গত ৬ মাস ধরে নওগাঁর বদলগাছী ও পত্নীতলা উপজেলার আদিবাসী নারীদের জীবনমান নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নেপালের জাতীয় আদিবাসী নারী ফোরাম সংগঠনের প্রতিনিধি ইয়াংজি লামা বলেন, বাংলাদেশে আদিবাসী নারীরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। তারা সরকারি খাতের সেবা থেকে বঞ্চিত ও মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আদিবাসী নারীদের জমির মালিকানায় অধিকার না থাকার কারণেও তাঁরা নিপড়ণের শিকার হন। বাংলাদেশে নারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এই বাধাগুলো দূর করতে হবে।