
কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ জন ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সদস্য এবং একজন কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) স্থানীয় সময় বিকেলে দোহার উত্তর কাতারা এলাকায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টানা ৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী এই অভিযানে ১৫টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া এবং পশ্চিম তীর শাখার নেতা জাহের জাবারিনকে টার্গেট করেই এ হামলা চালানো হয়। তবে তারা দুজনই হামলা থেকে বেঁচে যান।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের আলোচনাকারী প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠক করছিলেন, আর সেই ভবনকেই লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল।” তারা এই হামলাকে “ঘৃণ্য অপরাধ”, “নির্লজ্জ আগ্রাসন” এবং “আন্তর্জাতিক আইনের অশালীন লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করে। হামাসের দাবি, শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করার চেষ্টায়ও ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল।
কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। তবে সেখানে হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। পাশাপাশি কাতার এ হামলাকে “কাপুরুষোচিত” আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।