মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরী গ্রামে প্রবাসফেরত নারী রাশিদা বেগম (৫৫) খুন হওয়ার ঘটনায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে তার নিজ বাড়িতে ঘটে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর বাড়ির ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। কিছু মূল্যবান মালামালও খোয়া গেছে। তবে ঠিক কতটুকু মালামাল লুট হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিহতের ভাইয়ের মেয়ে ও নাতি সেদিন রাতেই রাশিদার বাড়িতে ছিলেন। তারা পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকায় ডাকাতদের হামলা টের পাননি।
প্রায় ৩০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাশিদা বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়েছেন। প্রবাস জীবন শেষে এক দশক আগে দেশে ফিরে গ্রামে বাড়ি নির্মাণ করে একাই বসবাস করছিলেন। তার একমাত্র মেয়ে বর্তমানে জর্ডান প্রবাসী। ফলে বাড়িতে প্রায়ই একা থাকতে হতো তাকে।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে প্রবাসফেরত একা বসবাসকারী পরিবারগুলো নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। গ্রামের মানুষ বলছে, রাতের অন্ধকারে ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ড বেড়ে চলেছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাটি শুধুই ডাকাতি নয়। গ্রামের কয়েকজন বলেন,
- “ডাকাতরা শুধু মালামাল নিলেই হতো, খুন করার প্রয়োজন ছিল না।”
- “রাশিদা বেগম একাই বাড়িতে থাকতেন, আগে কখনও তার বাড়িতে চুরি হয়নি।”
- “এখানে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয় থাকতে পারে।”
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কোহিনুর ইসলাম বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা হতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে।”


