ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তারা এ সনদে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পর কার্যক্রম শুরু হয় বৈরী আবহাওয়ার কারণে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, বিশিষ্ট নাগরিক ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর যোদ্ধারা।
তবে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ জাসদও সনদে স্বাক্ষর থেকে বিরত থাকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জুলাইয়ের বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিনিময়ের পর অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফায় পরিবর্তন আনা হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, বীর যোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে। তিনি অনুষ্ঠানে সংশোধিত ৫ নম্বর দফার ভাষ্য পাঠ করেন।
সংশোধিত ওই দফায় বলা হয়েছে—
“গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, শহীদ পরিবারকে ও আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের পুনর্বাসন, সুচিকিৎসা, মাসিক ভাতা, আইনগত দায়মুক্তি এবং মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র।”


