জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় অটোরিকশা চালককে মারধর করে গাজী রাশেদুজ্জামান মশিউর নামে এক বিএনপি নেতা। এই ঘটনায় তার সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে উপজেলা বিএনপি। পাশাপাশি তাকে দলের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন অটোরিকশা চালককে মারধর এবং ঘটনাস্থলে থাকা অপর এক ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গাজী রাশেদুজ্জামান মশিউরের সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো। পরবর্তীতে তার আচরণ সংশোধনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। সিদ্ধান্তটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে মেলান্দহ উপজেলার নয়াগর ইউনিয়নের মালঞ্চ বাজার থেকে রেলস্টেশনে যাওয়ার জন্য এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে মশিউর। এর এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা উত্তেজিত হয়ে অটোরিক্সা চালককে মারধর শুরু করে। পরিস্থিতি আরো জটিল হলে পাশের এক বয়ষ্ক ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধার করে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে দলের ভাবমূর্তি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। শুধু তাই নয় সোসাল মিডিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ট্রল শুরু হয়। বিষয়টি উপজেলা বিএনপির নজরে এলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জরুরি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অভিযুক্ত গাজী রাশেদুজ্জামান মশিউর বলেন, আমি একজন অটোচালককে যেতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। আমি তাকে ধমক দিলে পাশের একজন এসে ধাক্কা দেয়, তখন আমিও তাকে ধাক্কা দিই। এর বাইরে আর কিছু ঘটেনি। তবে দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি তা মেনে নিচ্ছি।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু বলেন, বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল। এই দল সাধারন জনগনের ভালোবাসায় টিকে রয়েছে। এখানে কোন উচ্ছশৃঙ্খলতার জায়গা নেই। দলের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেউই দলের শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নয়


