
নওগাঁর বালুডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার, খাস জমি দখল ও নিজের প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পৌরসভার চকবিরাম মহল্লার আজিজুল ও তার পুত্র আরাফাত।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আজিজুল দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিবেশি একাধিক খুনির আসামী আওয়ামী ক্যাডার সাজ্জাদের সহচরে থেকে নিজেকে সকল অপকর্মের জন্য প্রস্তুত করেছে, এ ক্ষেত্রে তার সকল অপকর্মের সাথে রয়েছে তার ছেলে আরাফাত। বিগত বছরের ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে দেশে যখন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনিত ঘটে। সেই সময়ে বাস টার্মিনাল এলাকায় চকপাথুরিয়া মৌজার ২৮৪ নং দাগের ১৪ শতক সরকারী খাস জমি অবৈধ ভাবে দখল করে নিজেকে জাহির করতে থাকে।
অপরদিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালডাঙ্গা কুটির শিল্প মেলায় পিতার সহযোগিতায় তার পুত্র আরাফাত তার একাধিক বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে হাজত বাস করে। আজিজুল তার সকল অপকর্মকে বৈধতা দানের উদ্দেশ্যে বিএনপির কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে দলে স্থান করে নিয়েছে। যা তার সকল অপকর্মকে বৈধতা প্রদানে সহায়তা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র এলকার এক পান ব্যবসায়ী জানান, সাজ্জাদ হোসেন ছোট বেলা থেকেই ভবঘুরে, উচ্ছৃঙ্খল ও নেশাগ্রস্থ ছিল। পারিবারিক জমিজমা নিয়ে জবরদখলের জের ধরে নিজ হাতে তার চাচাকে খুন করে। সে সময় আওয়ামীলীগের নেতা ছেকার আহমেদ শিষাণের তদবিরে সে জেল থেকে ছাড়া পায় । সে সময় সে নিজ বাড়ী, বালুডাঙ্গাতে বিল্ডিং, হাজির আম বাগানের মার্কেটসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ করেছে।
অত্র এলাকার আরেক ব্যাবসায়ী ও কিছু স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, সাজ্জাদ এক সময় রিক্সা চালাতো। ভবঘুরে ও উচ্ছৃঙ্খল ছিল। নিজের চাচাকে খুন করার পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুনতেছি বর্তমানে সে নাকি আবার বিএনপিও করে। স্থানীয় লোকজন ও ব্যাবসায়ীরা অত্যাচারে অতিষ্ট। এই সাজ্জাদ গত বছর ৫ আগষ্টের পর নওগাঁ বালুডাঙ্গা বাস টার্মিনালের পাশে ১৪শতক খাস জমি দখল করে । এতে করে আশে পাশের দোকানিদের ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে। তারা সকলে এই অবৈধ দখলের প্রতিবাদ জানান এবং সরকারের নিকট অবৈধ দখল মুক্ত করতে জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সাজ্জাদ হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।