১৩ বছর পর নওগাঁর মান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছে। আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এম এ মতিন সভাপতি ও শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
এম এ মতিন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক। শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ছিলেন। এছাড়া কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১২ সালে মান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। এরপর ১৩ বছরে কোনো সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। অবশ্য ২০১৭ ও ২০২৩ সালে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
সকালে কাউন্সিল পর্বে কাউন্সিলরদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সভাপতি পদে এম এ মতিন ও শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সাংগঠনিক দুটি পদে প্রত্যক্ষ ভোটে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন সামসুল আলম বাদল ও বিশ্বজিৎ সরকার। ১৪টি ইউনিয়নে মোট ৯৯৪ জন কাউন্সিলের মধ্যে ৯৩০ জন ভোট দেন।
বিকেলে ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আলিম। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও মান্দা উপজেলা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি এম এ মতিন। সদ্য বিলুপ্ত মান্দা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্, সহ-সমবায়বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক, নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরী, মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট প্রমুখ।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। কারও কারণে দলের দুর্নাম হয় এমন কাজ করবে না। যারা অন্যায়-অপকর্ম করছে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মামলা ও গ্রেপ্তারের জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। কিন্তু সরকার অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘এখনও আন্দোলন সংগ্রাম শেষ হয়নি। একটি গোষ্ঠী চায় না দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরে আসুক। তারা নির্বাচন চায় না। ভোটাধিকার ফিরে আনার জন্য আমাদের আবারও আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনে জিততেও হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যিনি ধানের শীষ প্রতীক পাবেন আমরা তার। নওগাঁয় প্রত্যেকটা সিট ধানের শীষের প্রার্থীকে জেতাতে হবে।’


