মানুষের দেহে তিল থাকা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। কেউ জন্ম থেকেই তিল নিয়ে জন্মান, আবার অনেকের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে তিল বা আঁচিল তৈরি হয়। তবে প্রাচীন ভারতীয় সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী, শরীরের বিভিন্ন অংশে তিলের অবস্থান, রং ও আকৃতি দেখে মানুষের ভাগ্য, চরিত্র ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
তিলের সংখ্যা ও অবস্থান- সমুদ্র শাস্ত্রে বলা হয়েছে—পুরুষের শরীরের ডান পাশে আর নারীর শরীরের বাঁ পাশে তিল থাকা শুভ। কোনো ব্যক্তির শরীরে ১২টির কম তিল থাকলে তা সৌভাগ্যের প্রতীক, আর ১২টির বেশি তিল অশুভ বলে ধরা হয়।
মাথা ও মুখমণ্ডলে তিলের অর্থ- ভ্রুতে তিল: ভ্রমণপ্রিয়তা; ডান ভ্রুতে থাকলে সুখী দাম্পত্য জীবন।
চোখে তিল: উচ্চ বিচারধারা ও সংবেদনশীল মন।
নাকে বা ঠোঁটে তিল: সৌভাগ্য ও ভালোবাসার প্রতীক।
গালে তিল: ডান গালে ধনলাভ, বাঁ গালে দারিদ্র্যের ইঙ্গিত।
হাতে ও বাহুতে তিলের ইঙ্গিত- ডান হাতে তিল থাকলে ধনী ও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা, আর বাঁ হাতে থাকলে খরচপ্রবণতা বেশি। তর্জনী বা বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে তিল থাকা জ্ঞানী, কর্মঠ ও ন্যায়পরায়ণতার প্রতীক বলে মনে করা হয়।
বুক, কোমর ও পায়ে তিল- ডান বুকে তিল মানে সৌভাগ্য; বাঁ বুকে তিল সম্পর্কের টানাপোড়েন। কোমরে তিল থাকলে জীবনে বাধা-বিপত্তি আসে, আর পায়ে তিল মানে ভ্রমণপ্রিয় ও চলনসই স্বভাব।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে- তিল নিয়ে শাস্ত্রীয় তত্ত্বগুলো মূলত সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের অংশ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তিলকে একটি প্রাকৃতিক ত্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা হয়। তবে তিলের রং বা আকৃতি হঠাৎ বদলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


