দোকানে বিক্রি হওয়া নানা ব্র্যান্ডের প্রোটিন পাউডার ও শেকে পাওয়া গেছে বিপজ্জনক ভারী ধাতু সিসা ও ক্যাডমিয়াম। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা কনজিউমার রিপোর্টস-এর এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত ২৩ ধরনের প্রোটিন পাউডার ও শেকের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশে প্রতিদিনের নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা পাওয়া গেছে।
কনজিউমার রিপোর্টসের ফুড সেফটি বিভাগের ম্যানেজার সানা মুজাহিদ বলেন, তাৎক্ষণিক ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।”
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে ভারী ধাতু ঢুকে পড়ার প্রধান কারণ হলো দূষিত মাটি ও পানি। বিশেষত উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন পাউডারগুলোতে দুগ্ধজাত উৎসের তুলনায় বেশি সিসা পাওয়া গেছে।
পরীক্ষায় সর্বাধিক সিসা পাওয়া গেছে নেইকেড নিউট্রিশন কোম্পানির ঠবমধহ গধংং এধরহবৎ পাউডারে — প্রতি সার্ভিংয়ে ৭.৭ মাইক্রোগ্রাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ পাওয়া গেছে হুয়েল (ঐঁবষ) কোম্পানির ইষধপশ ঊফরঃরড়হ পাউডারে, ৬.৩ মাইক্রোগ্রাম।
তবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর দাবি, তাদের পণ্যের সিসার মাত্রা এফডিএ-এর মানদণ্ড অতিক্রম করেনি।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্টিফেন লুবি বলেন, এই ফলাফল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কোম্পানিগুলো সরবরাহ চেইন সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে না।”
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দোকানের প্রোটিন পাউডারের বদলে বাড়িতে তৈরি প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার করা নিরাপদ। ছাতু, মুগ, কাবলি ছোলা, সয়াবিন, কিনোয়া, ও বিভিন্ন বীজে প্রাকৃতিকভাবে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
বাড়িতে প্রোটিন পাউডার বানাতে চাইলে ডাল, ওটস, বাদাম ও বীজ শুকিয়ে মিহি গুঁড়া করে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা যেতে পারে—যা এক মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।


