
খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, ১৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এবার উপকারভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখ করা হয়েছে। এসব পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে, কেজিপ্রতি মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ টাকা। কর্মসূচি চলবে ছয় মাস।
তিনি জানান, ৫৫ লাখ পরিবারের মধ্যে শুধু রংপুর বিভাগেই উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ লাখ। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। তবে অনিয়ম বা দুর্নীতি ঠেকাতে রংপুর বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসক, খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে দিনাজপুর সার্কিট হাউজে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমে দেশে সর্বোচ্চ পরিমাণ খাদ্য সংগৃহীত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ১০০ শতাংশেরও বেশি। বিশেষ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ দেশের প্রধান খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও আমদানির প্রসঙ্গে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “দেশে উৎপাদন ও জোগান পর্যাপ্ত থাকলে আমদানির প্রয়োজন হতো না। অনেক আমদানিকারক দেশের চাহিদার বিষয় না ভেবে শুধু নিজেদের লাভের কথা বিবেচনা করে চাল আমদানি করেন।”
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, আবেদনকারীদের বাছাই করা হয়েছে, তবে নতুন আবেদন এলে সেটিও বিবেচনা করা হবে। যেকোনো মূল্যে দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।