আগামী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নেওয়ার জন্য ১১টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখালেও প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে তিনটি। এর ফলে এবারের আসরে খুলনা ও নোয়াখালী অঞ্চল থেকে কোনো দল না থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) মিরপুরে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক শেষে সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু ও বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যে তিন প্রতিষ্ঠান বাদ পড়েছে তারা হলো এসকিউ স্পোর্টস, মাইন্ড ট্রি ও বাংলামার্ক গ্রুপ। এর মধ্যে এসকিউ স্পোর্টস ছিল সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘চিটাগং কিংস’-এর মালিক। তবে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বকেয়া পরিশোধ না করায় তাদের আবেদন বাতিল করেছে বিসিবি।
বিসিবি জানায়, চিটাগং কিংসের নামে প্রায় ৪৬ লাখ টাকা হোটেল বিল বকেয়া রয়েছে। পাশাপাশি পেস কোচ শন টেইটের ৪৫ লাখ টাকা, শহীদ আফ্রিদি ও কানাডিয়ান মডেল ইয়াসা সাগরের পারিশ্রমিকও বাকি। কয়েকজন খেলোয়াড়ও পাওনা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এসকিউ স্পোর্টস বাদ পড়ায় তারা আদালতে আপিল করলেও, হাইকোর্ট বিসিবির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। ফলে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজির দৌড়ে এখন আছে ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেড।
অন্যদিকে, খুলনা টাইগার্সের সাবেক মালিক মাইন্ড ট্রি এবং নোয়াখালী অঞ্চলের সম্ভাব্য মালিক বাংলামার্ক গ্রুপ বাদ পড়ায় ওই দুটি অঞ্চল থেকে দল না থাকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে বিসিবি চাইলে পরবর্তীতে অন্য প্রতিষ্ঠানকে এই অঞ্চলগুলোর ফ্র্যাঞ্চাইজি দিতে পারে।
বিসিবির যাচাই-বাছাই শেষে যে আট প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে: এসএস গ্রুপ (কুমিল্লা), রিমার্ক হরল্যান (ঢাকা), বসুন্ধরা গ্রুপ (রংপুর), নাবিল গ্রুপ ও দেশ ট্রাভেলস (রাজশাহী), আকাশবাড়ি হলিডেজ (বরিশাল), ক্রিকেট উইথ সামি (সিলেট) এবং ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেড (চট্টগ্রাম)।
ইফতেখার মিঠু বলেন, এই আটটির মধ্য থেকে ৫-৬টি দলকে চূড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হবে এবং তাদের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করা হবে। প্রয়োজনে কম দল নিয়েও টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।”
বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান যোগ করেন, এবার বিপিএলে কেবল যোগ্য ও সুনামধারী প্রতিষ্ঠানকেই রাখা হবে। মানহীন কোনো প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেওয়া হবে না।”
ফলে এবারের বিপিএলে খুলনা ও নোয়াখালীর ক্রিকেটপ্রেমীদের নিজেদের দলের অনুপস্থিতিতে টুর্নামেন্ট উপভোগ করতে হতে পারে।


